ভালবাসা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।

প্রেম ভালবাসাকে একটু বাঁকা চোখে অনেকেই দেখেন। কিন্তু ভালবাসা মানুষের স্বাস্থের জন্য বেশ উপকারী।
১. প্রেমে পড়লে মানুষের মন এবং শরীর শান্ত হয়। আর এটা হয় এক ধরনের হরমোন নিসৃত হওয়ার কারণে। এই হরমোন মানুষের নার্ভাস সিস্টেমকে পুনর্গঠন করতে সাহায্য করে। এতে নতুন ব্রেইন সেল তৈরি হয়। ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
২. ভালো না বাসলে মানুষের মনে অধিকাংশ সময়ই ক্রোধ থাকে। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। কিন্তু ভালবাসলে শরীর সেই ক্ষতি থেকে বেঁচে যায়। কারণ ভালবাসা মানুষের মনে রোমাঞ্চকর অনুভূতির সৃষ্টি করে। ফলে ইমিউন, এন্ডোক্রাইন এবং কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেম উপকৃত হয়।
৩. কেউ যদি তার কাঙ্খিত মানুষটির সঙ্গে কথা বলে তাহলে তার হার্টবিট তিনগুণ বেড়ে যায়। যার ফলে সারা শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মাত্রায় রক্ত চলাচল করে। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো।
৪. নর্থ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা যায়, যে প্রেমিক প্রেমিকারা খুব কাছাকাছি সময় কাটায় এবং পাশাপাশি বসে ভালবাসার কথা বলে তাদের শরীর থেকে অক্সিটোসিন নামক এক প্রকার লাভ হরমোন উচ্চমাত্রায় নিঃসৃত হয়। এর ফলে মেয়েদের ব্লাড প্রেসার কমে যায়।
৫. যারা ভালো না বাসে তারা একাকিত্বে ভোগে। ফলে তাদের অকাল মৃত্যুর আশংকা পাঁচগুণ বেড়ে যায়। তাই ভালবাসা দীর্ঘায়ুর জন্য অত্যন্ত জরুরি।
৬. দি ইন্সটিটিউট ফর রিসার্চ অন আনলিমিটেড লাভ- এর একটি গবেষণায় জানা যায়, যারা নিঃস্বার্থভাবে ভালবাসে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়, দুশ্চিন্তা কমে যায়, আয়ু বেড়ে যায়, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় এবং হতাশা দূর হয়।
৭. ভালবাসলে কোলেস্টেরল কমে যায়। হিউম্যান কমিউনিকেশন-এর এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া যায়। যারা ভালবাসার কথা লেখে বা শোনে তাদের শরীরেও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে থাকে। যারা ভালবাসে না, তারা এই উপকারিতা পায় না।
৮. ভালবাসা সব রোগের মহৌষধ। ভালবাসলে এন্ডোরফিন নামক এক প্রকার হরমোন তৈরি হয়। যার ফলে শরীরের চামড়া বেশি রক্ত পায় এবং এর ফলে শরীরের চামড়া নরম ও মসৃণ থাকে। এতে সহজে চামড়া কুচকে যায় না। মুখে আভার সৃষ্টি হয়।